মানুষকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য শুধু আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়। তাদের মনে নীতিবোধ ও আল্লাহর প্রতি ভয় জাগ্রত করতে হবে। নিয়মিত নামাজ আদায়ের মাধ্যমেই এই অনুভূতি জাগ্রত করা সম্ভব।
কোরআনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, নামাজ অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর স্মরণ জাগ্রত থাকে এবং তিনি সবকিছু জানেন এই বিশ্বাস মনে গেঁথে যায়। এই বিশ্বাসই মানুষকে অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।
অনেক নামাজি অন্যায় কাজ করে থাকে। এর কারণ হলো তাদের নামাজে ত্রুটি থাকতে পারে, নিয়মিত নামাজ আদায় নাও করতে পারে অথবা তাদের নামাজ আদায়ের পদ্ধতি সঠিক নাও হতে পারে।
বাস্তবতা হলো, নামাজিদের মধ্যে অন্যায় কাজের হার অনেক কম থাকে। নামাজ মানুষকে ন্যায়পরায়ণ, সৎ ও দায়িত্বশীল করে তোলে।
রাষ্ট্র নামাজ কায়েমের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সমাজে অন্যায় কাজ কমে যাবে।
কোরআনে রাষ্ট্র পরিচালনার মৌলিক লক্ষ্য হিসেবে নামাজ কায়েমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নামাজকে দ্বীনের স্তম্ভ বলেছেন এবং সাহাবায়ে কেরামদের নামাজ শেখানোর মাধ্যমে তাদের দীক্ষা দিয়েছেন।
খুলাফায়ে রাশেদীন নামাজের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছিলেন এবং নিজেরাও নিয়মিত নামাজ আদায় করতেন।
ইসলামে নামাজের ইমামতিকে 'ছোট ইমামত' এবং রাষ্ট্রের নেতৃত্বকে 'বড় ইমামত' বলা হয়।
খলিফা ওমর (রাঃ) গভর্নরদের নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে চিঠি লিখেছিলেন এবং নামাজের প্রতি গাফেলদের সতর্ক করেছিলেন।
উপসংহারে বলা যায় যে, নামাজ মানুষকে ন্যায়পরায়ণ ও সৎ করে তোলে এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে। রাষ্ট্র নামাজ কায়েমের ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সমাজে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!