সুস্থতা মহান আল্লাহর অন্যতম নেয়ামত, তবে অসুস্থতাও এক ধরনের পরীক্ষা ও রহমত। আল্লাহ তাআলা মানুষকে অসুস্থতার মাধ্যমে পরিশুদ্ধ করেন, গুনাহ মাফ করেন এবং পরবর্তী জীবনে বরকত দান করেন। তাই মুমিনের জন্য সুস্থতাও নেয়ামত, আবার অসুস্থতাও নেয়ামত।
সুস্থ থাকার জন্য প্রিয় নবিজির (সা.) দোয়া
হজরত আবদুর রহমান ইবনে আবু বকর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "আমি আমার পিতাকে প্রতিদিন ভোরে ও সন্ধ্যায় তিনবার বলতে শুনতাম—'হে আল্লাহ, আমার দেহ সুস্থ রাখুন, হে আল্লাহ, আমাকে সুস্থ রাখুন আমার শ্রবণ ইন্দ্রিয়ে, হে আল্লাহ, আমাকে সুস্থ রাখুন আমার দৃষ্টিশক্তিতে। আপনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।'"
তিনি আরও বলেন, "আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এভাবে দোয়া করতে শুনেছি, তাই আমিও এটি পড়তে ভালোবাসি।" (আবু দাউদ ৫০৯০)
পাঁচটি জিনিস মূল্যায়নের নির্দেশনা
রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে বলেছেন। তিনি বলেন,
✅ বৃদ্ধ হওয়ার আগে যৌবনকে
✅ রোগ হওয়ার আগে সুস্থতাকে
✅ কর্মব্যস্ততার আগে অবসরকে
✅ মৃত্যু আসার আগে জীবনকে
✅ দরিদ্র হওয়ার আগে সচ্ছলতাকে
(আল মুসতাদরাক হাকিম ৭৯১৬)
দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকার দোয়া
রাসুলুল্লাহ (সা.) শ্বেতরোগ, পাগলামি, কুষ্ঠরোগসহ সব ধরনের কঠিন অসুস্থতা থেকে আশ্রয় চাইতেন। তিনি দোয়া করতেন—
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُونِ وَالْجُذَامِ وَمِنْ سَيِّئِ الأَسْقَامِ
(উচ্চারণ): আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুনূনি ওয়াল জুযামি ওয়া মিন সাইয়্যিইল আসকাম।
(অর্থ): হে আল্লাহ! আমি শ্বেত, পাগলামি, কুষ্ঠ এবং ঘৃণ্য রোগগুলো থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (সুনানে আবু দাউদ, সুনানে নাসায়ি)
সুস্থ থাকার জন্য আমাদের করণীয়
আমাদের উচিত প্রতিদিন আল্লাহর দরবারে সুস্থতার জন্য দোয়া করা, নিয়মিত স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করা এবং রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রদত্ত দোয়াগুলো বেশি বেশি পড়া। কারণ, সুস্থ থাকাটাও আল্লাহর নেয়ামত, আর অসুস্থতা হলে তা ধৈর্য ধরে আল্লাহর ইবাদতে মনোযোগী হওয়ার মাধ্যম।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!