মানুষের সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য মহান আল্লাহর ইবাদত করা। কিন্তু শয়তান সর্বদা মানুষকে ইবাদত থেকে বিরত রাখতে চায়। কুরআন ও হাদিসে শয়তানকে মানুষের প্রকাশ্য শত্রু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই শয়তানের অনিষ্ট ও কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচতে দোয়া ও আমল করা অত্যন্ত জরুরি।
শয়তানের অনিষ্ট থেকে রক্ষার জন্য একটি দোয়া:
নবী করিম (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন এমন একটি দোয়া, যা শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে সুরক্ষা দিতে পারে। দোয়াটি হলো:
আরবি:
أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
উচ্চারণ:
আউজুবিল্লাহিল আজিম ওয়া বিওয়াজহিহিল কারিম ওয়া সুলত্বানিহিল কাদিমি মিনাশ শাইত্বানির রাজিম।
অর্থ:
আমি মহান আল্লাহর কাছে, তার মহানুভব চেহারার কাছে, তার অনাদি-অনন্ত কর্তৃত্বের কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।
হাদিসে এসেছে, কেউ যদি মসজিদে প্রবেশের সময় এই দোয়া পাঠ করেন, শয়তান বলে, ‘এ ব্যক্তি আজ সারাদিনের জন্য আমার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ হয়ে গেল।’ (আবু দাউদ: ৪৬৬)
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দোয়া:
আরবি:
لا إلهَ إلاَّ اللَّه وحْدهُ لاَ شَرِيكَ لهُ، لَهُ المُلْكُ، ولَهُ الحمْدُ، وَهُو عَلَى كُلِّ شَيءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণ:
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
অর্থ:
আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তার কোনো শরিক নেই। রাজত্ব একমাত্র তারই, সমস্ত প্রশংসাও তারই জন্য, এবং তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান। (মুসনাদে আহমাদ: ২৩৫১৮)
নবীজির (সা.) শেখানো এই দোয়াগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শয়তানের কুমন্ত্রণা ও বিপদ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ উপকারী। তাই এসব দোয়া পাঠ করা এবং আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য।
এই গুরুত্বপূর্ণ দোয়াগুলো আপনার জীবনকে শয়তানের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে পারে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে হেফাজত করুন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!