হাদিস: আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, "রমজান মাসের প্রথম রাতেই শয়তান ও দুষ্টু জিনদের শৃঙ্খলাবদ্ধ করে ফেলা হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, এর একটি দরজাও তখন খোলা হয় না; জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, এর একটি দরজাও বন্ধ করা হয় না।
আর একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিতে থাকে, ‘হে কল্যাণকামী! অগ্রসর হও! হে পাপাসক্ত! বিরত হও। আর মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে আছে জাহান্নাম থেকে বহু লোককে মুক্তি দান। প্রত্যেক রাতেই এরূপ হতে থাকে।" (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৬৮২)
রমজান মাস মুমিনের প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ। এই মাসে আল্লাহ মুমিনের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ রেখেছেন।
রমজানের প্রথম প্রহর থেকেই একজন ঘোষণাকারী এই কল্যাণের ঘোষণা দিতে থাকে।
ঘোষণার মাধ্যমে আল্লাহ মুমিনদের পাপ পরিহার করে জান্নাতের দিকে এগিয়ে যেতে এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানান।
এই মাসে মুমিনদের উচিত নিষ্ঠার সাথে তওবা করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং পাপ থেকে দূরে থাকা।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমা থেকে আরেক জুমা এবং এক রমজান থেকে আরেক রমজান, তার মধ্যবর্তী সময়ের জন্য পাপমোচনকারী হবে যদি কবিরা গুনাহ হতে বেঁচে থাকে।" (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৩৩)
রমজান মাস পাপ পরিহারের একটি অনন্য সুযোগ। এই মাসে মুমিনদের উচিত আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে পাপ থেকে দূরে থাকা এবং জান্নাতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!