সারা দেশের ন্যায় হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়েও আগামী ৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিন্দুদের বড় অনুষ্ঠান শারদীয় দূর্গা পূজা।
এরই ধারাবাহিকতায় এবার বানিয়াচং উপজেলায় ১০৫টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা যায়। এই উপলক্ষে শারদীয় দূর্গা পূজায় যাহাতে কোন ধরনের আইনশৃঙ্খলার অবনতি না ঘটে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।আইনশৃঙ্খলার জোরদার করতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
এই পূজায় সরকার থেকে দেওয়া হয়ে থাকে বরাদ্দ এবং শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত করা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
এই বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুপুর কুমার দেব এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বানিয়াচং উপজেলায় ১০৫টি পূজা মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দূর্গা পূজা।
তাই তিনি এসব পূজার স্হান উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেছেন।
তবে তারা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সরকারের নিকট হতে অনুদানসহ সবকিছু পাবেন এমনটাই আশাবাদী।
আর এদিকে এই পূজায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করবে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যগন।
এই উপলক্ষে জেলার নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী গত ১৭সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বানিয়াচং উপজেলায় আনসার সদস্য নিয়োগের যাচাই বাঁচাই এর নির্ধারিত দিন ছিলো। বানিয়াচং উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন থেকে ৫শতাধিক এর মতো আনসার সদস্য পুরুষ মহিলা উপজেলা কার্যালয়ের মাঠে এসে জুড়ো হন।
উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমান এর তথ্য অনুযায়ী,পুরো উপজেলায় অন্যান্য বছর ৮ শতাধিক আনসার সদস্য ডিউটি পালন করিছেলেন।
কিন্তু এবারও এর উপরে হবেনা বলে তিনি জানান, ইদানীং হয়তো একটু কমবেশি হতে পারে। তবে আগের চেয়ে একটু কম হতে পারে বা কিছু বাড়তে পারে।
তবে এবারও তারা ৮ শতাধিক এর মতো আনসার সদস্য নিয়োগ দিবেন পূজার দায়িত্ব পালনের জন্য।
কিন্তু সকাল ১১টা থেকে শুরু হওয়া যাচাই বাঁচাই কার্যক্রম শুরু হলেও তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৫৭জন আনসার সদস্যদের বাঁচাই করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বাকি অন্যান্য সদস্যদের নিয়োগের জন্য জেলা হতে নতুন করে একটি তারিখ আসলে বাকি আনসার সদস্যদেরকে নেওয়া হবে। এছাড়াও যাচাই বাঁচাই করার পূর্বে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত পুরুষ মহিলাদের উদ্যেশে বক্তব্য প্রদান করেন বানিয়াচং উপজেলা আনসার কর্মকর্তা মোঃআতাউর রহমান।
বক্তব্যকালে তিনি বলেন," পূর্বে আমরা যতো দুই নাম্বারি করেছি এগুলো মাফ! এবার নতুন করে আর কোন দুই নাম্বারি চলবেনা। তার এমন বক্তব্য শুনে পুরো উপজেলা জুড়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, উপজেলার এই আনসার কর্মকর্তা ২০১৯ইং সনে বানিয়াচং উপজেলায় যোগদান করেন।
এবং তিনি দীর্ঘ ৫বছর ধরে বিভিন্ন অনিয়ম,দূর্নীতি করে লাখ,লাখ টাকা কামাই করে আসছিলেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।
এমনকি এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে দার্নীতির একটি মামলাও হয়েছে। যাহা বর্তমানেও চলমান রয়েছে।
তার এমন বক্তব্যর পর এবং পাছনের এতো কিছুর পরও তিনি কিভাবে একই অফিসে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন, এনিয়েও চলছে নানান আলোচনা সমালোচনা। অনেকেই আবার তার এসব দুই নাম্বারির পিছনে খুঁটির জোর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
জানতে চান তার পাছনের খুঁটির জোর সম্পর্কেও। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই বলেন,প্রাইমারি গন্ডি পার না হওয়া অনেকেই ভূয়া জাল এসএসসি সার্টিফিকেট দিয়ে এই আনসার বিডিপি অফিস থেকে এই কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে, যার ফলে তিনি লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছেন।
এমনকি এসব পূজাসহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠানে আনসার সদস্যদের তারা নিয়োগ দিয়ে থাকেন। এবং তাদের নিয়োগকৃতদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২হাজার করে টাকা নিয়ে লাখ টাকা মেরে খাচ্ছেন।
তাই সচেতন মহলসহ এসব অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জোরদাবী জানিয়ে প্রতিকার চেয়েছেন উপজেলাবাসী।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!