আব্দুল্লাহ, কুবি প্রতিনিধি:
নানা আয়োজনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উদযাপন করা হয়েছে। রবিবার(১২ নভেম্বর) বিকাল ৪ টায় সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ কর্তৃক র্যালি এবং পরবর্তীতে সন্ধ্যায় পূজা উদযাপন পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে দীপ প্রজ্জ্বলন করে ও ফানুস উড়ানো হয়।
এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নানা ধরনের গান পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা কার্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহা: হাবিবুর রহমান বলেন, 'বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ এখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসাথে বসবাস করে। এখানে পূজা ও রোজা একাসাথে পালিত হয় যার উদাহরণ আজকের এই দিপাবলী।'
সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের সভাপতি অজয় চন্দ্র বর্মন বলেন, 'বিগত বছরগুলোতে আমাদের পূজা উদযাপন পরিষদ দিপাবলী ও পূজা উদযাপন করে আসছে। এই প্রথম আমরা সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ( এসবিএস) দিপাবলী উদযাপন করছি।ভবিষ্যতে আমাদের কাজ হবে সনাতনী শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় বই, সেমিনারের মাধ্যমে ধর্ম সম্পর্কে অবহিত করা। তাছাড়া পূজা উদযাপন পরিষদ এবং সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ উভয় সনাতনীদের নিয়ে কাজ করে । আমরা সনাতনী বিদ্যার্থী সংসদ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়ন এসব বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে থাকি।'
পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ধ্রুব বিশ্বাস বলেন, 'আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদ প্রতিবছর শ্যামাপূজার দিনে দিপাবলী উদযাপন করে থাকি। এই বছরও আমরা মুক্তমঞ্চে দিপাবলির আয়োজন করেছি। এই ব্যাপারে প্রশাসন আমাদেরকে যথেষ্ট সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করেছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আমরা দিপাবলী পালন করি মনের অন্ধকার দূর করার জন্য। আমরা বিশ্বাস করি দীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে মানুষের মনের অন্ধকার দূর হয়ে সমাজের অন্যায় - অত্যাচার দূর হবে এবং মানুষ শুভ কাজের প্রতি মনোনিবেশ করবে ফলে সমাজে শান্তি ফিরে আসবে।'
উল্লেখ্য, হিন্দু পুরাণ মতে দেবী কালী—দুর্গারই একটি রূপ। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মাহাত্ম্য। কালীদেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুণ্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!