যাকাত ফরজ হওয়ার শর্ত: সুস্থ মস্তিষ্কের, স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম হতে হবে। নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হতে হবে। নিসাব পরিমাণ সম্পদ এক চান্দ্র বছর (৩৫৪ দিন) মজুদ থাকতে হবে।
বর্তমান নিসাব: ৭.৫ তোলা স্বর্ণ,৫২.৫ তোলা রুপা, সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমমূল্যের টাকা বা ব্যাবসায়িক পণ্য
যাকাত প্রদানের ফলাফল: আল্লাহর রহমত ও সন্তুষ্টি অর্জন। সম্পদের বৃদ্ধি ও পরিশুদ্ধি। অনিষ্ট দূরীকরণ।
যাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে: নিসাবের মালিক নয়, এমন গরিব লোক। যারা দ্বিনদার। যারা সাহায্যের জন্য কারো দরজায় যায় না। যাদের অভাবের কথা কাউকে বলে না।
যাদেরকে যাকাত দেওয়া যাবে না: মা-বাবা, দাদা-দাদি, নানা-নানি, ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি, স্বামী/স্ত্রী। নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক। নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের নাবালক সন্তান। মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণ, পুল, রাস্তা, হাসপাতাল বানানোর কাজে। মৃতের দাফনের কাজে। অমুসলিম।
যাকাত প্রদানের রীতি: গোপনে দান করা উত্তম। প্রকাশ্যে দান করলেও তা সমাজের কল্যাণে ব্যবহার করা উচিত। গরিব আত্মীয়কে জাকাত দেওয়ার দিগুণ সওয়াব।
কাদেরকে যাকাত দেওয়া উত্তম: যারা গরিব ও দ্বিনদার। যারা সাহায্যের জন্য কারো দরজায় যায় না।যাদের অভাবের কথা কাউকে বলে না।
যাকাত প্রদানের গুরুত্ব: যাকাত ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। এটি ধনীদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক কর্তব্য। জাকাত সমাজের অভাবী মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে। যাকাত সমাজে সম্পদের ন্যায্য বন্টন নিশ্চিত করে।যাকাত সমাজে ঐক্য ও সহমর্মিতা বৃদ্ধি করে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!