গুনাহের প্রকারভেদ:
কবিরা গুনাহ: আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) যা করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন এবং যেসব কাজের জন্য শাস্তির বিধান বা আল্লাহর ক্রোধের ঘোষণা আছে, সেগুলোকে কবিরা গুনাহ বলা হয়।
সগিরা গুনাহ: কবিরা গুনাহ ছাড়া অন্যান্য পাপকে সগিরা গুনাহ বলা হয়।
গুনাহের প্রভাব:
চিন্তা ও মনের অশান্তি: গুনাহ মানুষকে চিন্তিত ও অশান্ত করে তোলে।
আরও গুনাহের দিকে ঝুঁকে পড়া: প্রথমে মনে হয় গুনাহ করে পরে তাওবা করা যাবে। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় গুনাহ থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়ে এবং আরও মারাত্মক গুনাহের দিকে ঝুঁকে পড়া হয়।
অভ্যাসে পরিণত হওয়া: বারবার গুনাহ করলে তা অভ্যাসে পরিণত হয় এবং তা থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
সর্বনাশের দিকে ধাবিত হওয়া: গুনাহ ক্যান্সারের মতো, যদি তা পরিত্যাগ না করা হয় তবে তা ধীরে ধীরে সব অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে এবং সর্বনাশের দিকে ধাবিত করে।
কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা গুনাহের উপর চার সাক্ষী পেশ করবেন।
প্রথম সাক্ষী: প্রত্যেক মানুষের কাঁধে থাকা 'কিরামান কাতিবিন' ফেরেশতা।
দ্বিতীয় সাক্ষী: আমলনামা।
তৃতীয় সাক্ষী: জমিন বা গুনাহ করার স্থান।
চতুর্থ সাক্ষী: মানুষের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।
পাপ আগুনের মতো। পাপীরা অবশ্যই ইহকাল ও পরকালে পাপের আগুনে জ্বলবে।
গুনাহের ভয়াবহ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার জন্য আমাদের সকলকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে এবং গুনাহ থেকে বিরত থাকতে হবে।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!