রোজা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি এবং এটি সকল মুসলিমের জন্য বাধ্যতামূলক। তবে, কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়।
যাদের উপর রোজা রাখা আবশ্যক:
মুসলিম হওয়া: অমুসলিমদের জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়।
প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া: প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়। তবে, বাচ্চাদেরকে ছোটবেলা থেকেই রোজার অভ্যাস করানো উচিত।
সুস্থ হওয়া: যে ব্যক্তি অসুস্থ এবং রোজা রাখলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হবে, তার জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়।
যেসব পরিস্থিতিতে রোজা ভাঙা যায়:
অসুস্থতা: অসুস্থতার কারণে রোজা ভাঙা যাবে।
ভ্রমণ: ভ্রমণকারী ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়।
ঋতুস্রাব ও প্রসবোত্তর রক্তপাত: মহিলাদের ঋতুস্রাব ও প্রসবোত্তর রক্তপাতের সময় রোজা রাখা বাধ্যতামূলক নয়।
রোজার দুটি রুকন:
নিয়ত: রমজান মাসে রোজা রাখার নিয়ত করা আবশ্যক।
ইমসাক: রোজাদারের জন্য সারাদিন খাওয়া-দাওয়া, সহবাস ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।
রোজা ভাঙার ক্ষেত্রে কাজা ও কাফফারা:
অসুস্থতা, ভ্রমণ, ঋতুস্রাব ও প্রসবোত্তর রক্তপাতের কারণে রোজা ভাঙলে পরবর্তীতে কাজা আদায় করতে হবে।
ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙলে কাজা ও কাফফারা উভয়ই আদায় করতে হবে।
রোজার ফজিলত:
রোজা রাখার অজস্র ফজিলত রয়েছে। রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করা যায় এবং গুনাহ মাফ করা হয়।
রোজা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করা সম্ভব।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!