ইতিকাফের পরিচয়:
ইতিকাফ শব্দটি আরবি। অভিধানে এর অর্থ হলো: অবস্থান করা, অভিমুখী হওয়া, নিবেদিত হওয়া, নিরবচ্ছিন্ন হওয়া ইত্যাদি। পরিভাষায় ইতিকাফ বলতে বোঝায়: আল্লাহর ইবাদতের উদ্দেশ্যে দুনিয়ার যাবতীয় ব্যস্ততা ত্যাগ করে এমন মসজিদে অবস্থান করা, যেখানে জামাতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়। অথবা যে স্থানকে নামাজের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ইতিকাফের ফজিলত ও উপকার:
ইতিকাফ একটি বিশেষ ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। রমজানের ফজিলত ও বরকত লাভ করার ক্ষেত্রে ইতিকাফের ভূমিকা অপরিসীম।
ইতিকাফের কিছু ফজিলত ও উপকার:
নবী করিম (সাঃ) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন।
ইতিকাফের মাধ্যমে লাইলাতুল কদর লাভ করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
ইতিকাফকারী অত্যন্ত পবিত্র ও গোনাহমুক্ত পরিবেশে থাকে।
ইতিকাফের মাধ্যমে রোজার যাবতীয় হক ও আদব রক্ষা করার তৌফিক হয়।
ইতিকাফের প্রকার:
সুন্নত ইতিকাফ: রমজানের শেষ দশকে একুশ তারিখের রাত থেকে ঈদের চাঁদ দেখা পর্যন্ত ইতিকাফ করা।
নফল ইতিকাফ: রমজানের শেষ দশকে পূর্ণ ১০ দিনের কম ইতিকাফ করা। অথবা বছরের অন্য যে কোনো সময় যতক্ষণ ইচ্ছা, ইতিকাফের নিয়তে মসজিদে অবস্থান করা।
ওয়াজিব ইতিকাফ: মান্নতকৃত ইতিকাফ এবং সুন্নত ইতিকাফ ফাসেদ হয়ে গেলে তার কাজা আদায় করা ওয়াজিব।
ইতিকাফের স্থান:
সওয়াবের দিক থেকে ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো মসজিদে হারাম।
এরপর মসজিদে নববী।
তারপর মসজিদে আকসা।
এরপর যে কোনো জামে মসজিদ।
তারপর যে কোনো পাঞ্জেগানা মসজিদ।
তবে নারীদের জন্য ইতিকাফের স্থান হলো ঘরের নির্দিষ্ট কোনো স্থান।
ইতিকাফের প্রস্তুতি:
মানসিক প্রস্তুতি: আল্লাহর ঘর সর্বোচ্চ সম্মানিত ও পবিত্রতম স্থান। এই পবিত্রতম স্থানে অবস্থানের জন্য সর্বপ্রথম মানসিক প্রস্তুতির প্রয়োজন।
বাহ্যিক পবিত্রতা: পোশাক পরিচ্ছন্ন রাখা।
অভ্যন্তরীণ পরিচ্ছন্নতা: তওবা ইস্তিগফারের মাধ্যমে নিজের অতীত গোনাহ ক্ষমা করিয়ে নেওয়া।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!