স্টাফ রিপোর্টারঃ
চাঁদপুর পৌরসভা ১৩ নং ওয়ার্ড ওয়ালেস মৃধা বাড়ি রোড এলাকায় মৃধা বাড়ির অসহায় বৃদ্ধ মোখলেছুর রহমান মৃধার (৭০) শেষ সম্বল ১শতাংশ সম্পত্তি অভিনব কায়দায় আত্মসাৎ এর ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে আসছেন ত্রুটিপূর্ণ বিধিতে ক্রয় সুত্রে মালিক রফিকুল ইসলাম গাজী ও তার ছেলে আল আমিন গাজী।
বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় অসহায় বৃদ্ধ মোখলেছুর রহমান মৃধা বাদী হয়ে রফিকুল ইসলাম গাজী ও তার ছেলে আল আমিন গাজী কে বিবাদী করে ৬ ই ফেব্রুয়ারী চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের অশুভ গুঞ্জন চালাচ্ছে চালাচ্ছি। থানার লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায় রফিকুল ইসলাম গাজী ও তার ছেলে আল আমিন গাজী ৫ ফেব্রুয়ারী রাত ৯ ঘটিকার সময় মৃধা বাড়ি রোডে অসহায় বৃদ্ধ মোখলেছুর রহমানের সম্পত্তি দখল করে একটি দোকান তৈরি করার প্রস্তুতি নেন। এই সময় অসহায় মোখলেছুর রহমান ও বাড়ির লোকজন দোকান না করার জন্য বাঁধা দেন। চাঁদপুর সদর তরপুরচন্ডী মৌজার সি.এস ৪৫৩ ও এস, এ ৪০৬ খতিয়ানে মোখলেছুর রহমান পৈত্রিক সূত্রে এই সম্পত্তির মালিক হন।
তার নামে বি এস ১৯৬৭ নং খতিয়ান রেকর্ডভুক্ত থাতাবস্থায় রফিকুল ইসলাম গাজী ও তার ছেলে আল আমিন জোড়পূর্বক বি.এস- ৫৪৭৬ দাগে বাড়ীর অংশে বাউন্ডারী দিয়ে দোকান নির্মাণ করার জন্য অদ্য ০৫ ফেব্রুয়ারী রাত অনুমান ৯ টার সময় ইট বালি নিয়ে প্রস্তুতি নেন। এই সময় মোখলেছুর রহমান ও বাড়ির অন্যান লোকজন বাঁধা দেন।
অসহায় বৃদ্ধ মোখলেছুর রহমান বলেন আমি আমার পিতার সম্পত্তি থেকে ২ শতাংশ রফিকুল ইসলাম গাজী নিকট বিক্রি করি। তারা আবার তাদের সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়ে এখন আমার শেষ সম্বল টুকু জোরপূর্বক দখল করার জন্য চেষ্টা চালায়। আমি আশেপাশের গন্যমান্যদের জানাই । তাদেরকে বাঁধা দিয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করি। তার ছেলে আল আমিন গাজী উকিল পরিচয় দিয়ে আমাকে মিথ্যা মামলার ভয়-ভীতি দেখিয়ে আমার জায়গা দখল করে নেওয়ার হুমকি থামকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
এদিকে মৃধা বাড়ির লোকজন জানান মোখলেছুর রহমান একজন অসহায় মানুষ। মানুষের সহযোগিতায় চলে। তার পিতার সামান্য সম্পত্তি রফিকুল ইসলাম গাজী ও তার ছেলে আল আমিন গাজী দখল করার চেষ্টা করে। আমরা বাঁধা দিয়েছি। আমাদের পরামর্শে মোখলেছুর রহমান থানায় অভিযোগ করেন।
সরজমিনে রফিকুল ইসলাম গাজী ও তার ছেলে আল আমিন গাজীকে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় না। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মাঝে সুষ্ঠু সমাধান না হলে বড় ধরনের শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!