এইচ এম আরিফ হোসেন:
একের পর এক অপহরনকৃত মামলার ভিকটিম দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দিয়ে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন পিবিআই চাঁদপুর। পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তফা কামাল রাশেদ এর নেতৃত্বে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই চাঁদপুর এর প্রশংসা আজ সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। তার সাহসিকতা, দক্ষ নেতৃত্ব ,আন্তরিকতা, সততা ও দূরদৃষ্টিতার কারনে পিবিআই চাঁদপুর ইউনিট আজ অনেক শক্তিশালী। কোর্ট পিবিআই এর কার্যকর্মে সন্তুষ্টি হয়ে অধিক মামলা দিয়ে যাচ্ছে। এবার স্বল্প সময়ে মধ্যে অপহরণ মামলার ১৬ বছর বয়সী নারীশিশু ভিকটিমকে উদ্ধার করে কোর্টের দেওয়া মামলা তদন্তের আস্তার প্রতিদান দিলেন পিবিআই এর চৌকস উপপরিদর্শক মোঃ আমির হোসেন।
নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার ছদ্মনাম (১৬) স্কুলে যাওয়ার পথে রাঙ্গামাটির কিছু বখাটে তাকে জোর পূর্ব অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ভিকটিম এর ভাই মোঃ সাইফুল ইসলাম(৩৮) কোর্টে অনিকুল ইসলাম রাকিব (১৯), মোঃ আলাউদ্দিন (৪৫), দিলুয়ারা বেগম (৪২), মফিজুল রহমান (২৪), তুহিনআহম্মেদ আলতাফ(২২), মোঃ মহিউদ্দিন (৩৪) সর্ব সাং-ওমদামিয় পাহাড়,থানা - কোতয়ালী, জেলা-রাঙ্গামাটি কে বিবাদী করে একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন। কোর্ট মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই কে দেন। মামলা নাম্বার সি আর মামলা নং-২৪২/২৩ (সদর), চাঁদপুর, ০৩/০৮/২০২৩ খ্রিঃ। ধারাঃ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/ ২০০৩) এর ৭/৩০।
জানা যায় ভিকটিম নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ফারিয়া আক্তার ছদ্মনাম (১৬) গত ২৪ জুলাই সকাল অনুমান ০৮:৩০ ঘটিকার সময় চাঁদপুর সদরস্থ নিজ বাসা হতে বের হয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে জয় বাংলা সড়কে পৌঁছলে এজাহারনামীয় আসামীরা ভিকটিমকে জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ভিকটিমের ভাই বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তকালে জানা যায় যে এজাহারনামীয় ১ নং আসামী অনিকুল ইসলাম রাকিব ও তার সহযোগী আসামিরা ভিকটিম ফারিয়া আক্তার কে জোরপূর্বক অপহরণ করে প্রথমে রাংগামাটি জেলায় নিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে ১নং আসামি মোঃ অনিকুল ইসলাম রাকিব (১৯) ভিকটিমকে জোরপূর্বক ঢাকায় নিয়ে গিয়ে আত্মগোপন করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মোঃ আমির হোসেন এর নেতৃত্বে পিবিআই চাঁদপুর এর একটি বিশেষ টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার ২ মাস পরে গত ২৭ সেক্টম্বর ডিএমপি, ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১নং আসামীর সহযোগীকে আটক করে। তাকে নিয়ে প্রথমে ভাটারা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে না পেয়ে পরবর্তীতে মোহাম্মদপুর থানার কাটাসুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। ওই দিন বিকাল অনুমান ৪:৪০ ঘটিকার সময় ভিকটিমকে ১নং আসামী মোঃ অনিকুল ইসলাম রাকিব (১৯) এর ভাড়াকৃত বাসায় তার হেফাজত হতে উদ্ধার করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর ভিকটিমের সম্মতিক্রমে তার ডাক্তারী পরীক্ষাশেষে তাকে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করেন। আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক ভিকটিম এর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে ভিকটিমকে তার মাতার জিম্মায় প্রদান করেন।মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে বলে জানা যায়।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!