নির্বাহী আদেশে ছুটির মধ্যে রয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত, ২৮ মার্চ শবে কদর, ২৯ ও ৩০ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে চার দিন, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ঈদুল আজহার আগে ৫ ও ৬ জুন এবং পরে ৮ থেকে ১০ জুন পাঁচ দিন, ৬ জুলাই আশুরা এবং ১ অক্টোবর দুর্গাপূজার মহানবমী।

ঐচ্ছিক ছুটি:
মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য নির্দিষ্ট ঐচ্ছিক ছুটিও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মুসলিমদের জন্য শবে মিরাজ (২৮ ফেব্রুয়ারি), ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন (৩ এপ্রিল), ঈদুল আজহার চতুর্থ দিন (১১ জুন), আখেরি চাহার শোম্বা (২০ সেপ্টেম্বর) এবং ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম (৪ অক্টোবর) ঐচ্ছিক ছুটি হিসেবে থাকবে।

হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে সরস্বতী পূজা (৩ ফেব্রুয়ারি), শিবরাত্রি (২৬ ফেব্রুয়ারি), দোলযাত্রা (১৪ মার্চ), মহালয়া (২১ সেপ্টেম্বর) এবং দুর্গাপূজার সপ্তমী ও অষ্টমী (২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর)।

খ্রিষ্টানদের জন্য ইংরেজি নববর্ষ (১ জানুয়ারি), ভস্ম বুধবার (৫ মার্চ), পুণ্য সপ্তাহ (১৭ থেকে ২০ এপ্রিল) এবং বড়দিনের আগে ও পরে (২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর) ঐচ্ছিক ছুটি থাকবে।

বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য ঐচ্ছিক ছুটির মধ্যে রয়েছে মাঘী পূর্ণিমা (১১ ফেব্রুয়ারি), চৈত্র সংক্রান্তি (১৩ এপ্রিল), বুদ্ধপূর্ণিমা (১০ ও ১২ মে), আষাঢ়ী পূর্ণিমা (৯ জুলাই), মধু পূর্ণিমা (৬ সেপ্টেম্বর) এবং প্রবারণা পূর্ণিমা (৫ অক্টোবর)।

এছাড়া, পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য বৈসাবিসহ বিভিন্ন সামাজিক উৎসব উপলক্ষে ১২ ও ১৫ এপ্রিল ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

নতুন বছরে সরকারের এই ছুটির পরিকল্পনা দেশজুড়ে সকল কর্মচারী ও পেশাজীবীদের জন্য কাজের ধারাবাহিকতায় ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।