বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ৭৮ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় জীবনযাপন করছে। অথচ বিশ্বে প্রতিদিন কেবল ঘরে ঘরেই ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হচ্ছে। গতকাল বুধবার জাতিসংঘের খাদ্য অপচয় সূচক (ফুড ওয়াস্ট ইনডেক্স)-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২২ সাল থেকে এই প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কাজ শুরু হয়েছিল। ২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য অপচয় অর্ধেক করার চেষ্টা করছে এমন দেশগুলির অগ্রগতি ট্র্যাক করে এই সূচক।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে গড়ে ১০০ কোটি টন খাদ্য ঘরে ঘরে নষ্ট হয়েছে। ২০২৩ সালেও এই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল।
ঘরে ঘরে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাবার নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, খাদ্যের অপচয় একটি বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি। শুধুমাত্র এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যা স নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!