স্টাফ রিপোর্টার
৭ মে ২০২৫ | মঙ্গলবার গভীর রাত
কাশ্মীরের সাম্প্রতিক হামলাকে কেন্দ্র করে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ফের তুঙ্গে। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে পাকিস্তানের ছয়টি শহরে আকস্মিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। এই অভিযানে নিহত হয়েছেন অন্তত আটজন এবং আহত হয়েছেন ৩৫ জন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও রাতেই ভারতীয় অবস্থানে পাল্টা আক্রমণ চালায় এবং পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে।
ভারতের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, 'অপারেশন সিঁদুর' নামক এই অভিযানে তারা পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মীরের নয়টি স্থানে হামলা চালিয়েছে। মূলত লস্কর-ই-তায়েবা এবং জইশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটিগুলো ছিল প্রধান লক্ষ্য। যদিও পাকিস্তান বলছে, এসব হামলায় মসজিদ ও বেসামরিক বসতিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতির চিত্র:
ভাওয়ালপুরের সুবহান মসজিদে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে নিহত ৫, আহত ৩১
মুজাফ্ফারাবাদের বিলাল মসজিদে সাত দফা হামলায় একজন শিশু আহত
কোটলি শহরে এক কিশোরী ও তরুণ নিহত, নারী ও শিশুকন্যা আহত
মুরিদকের উমালকুরা মসজিদে একজন নিহত, দুজন নিখোঁজ

পাকিস্তানের জবাব:
পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাতেই তারা ভারতীয় আকাশসীমায় অনুপ্রবেশকারী পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি এসইউ–৩০ এবং একটি মিগ–২৯। এসব দাবি যদিও এখন পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া:
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ভারতের হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ আখ্যা দিয়ে উপযুক্ত জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলাকে 'লজ্জাজনক' বলে অভিহিত করেন এবং দ্রুত সমাধানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দুই দেশকে সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
আতঙ্কে সাধারণ মানুষ:
মুজাফ্ফারাবাদে রাতের হামলার সময় একাধিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে শহর। বাসিন্দারা জানায়, তারা প্রাণভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ওয়াহিদ বলেন, “বাচ্চারা কাঁদছিল, মহিলারা দৌড়াদৌড়ি করছিলেন। আমরা জানতাম না কী হচ্ছে। এ যেন এক যুদ্ধক্ষেত্র।”
হামলার পেছনের কারণ:
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়। এর জেরে ভারত এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করে। তারা বলছে, পাকিস্তান হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
কী বলছে বিশ্লেষকরা?
এখন প্রশ্ন উঠছে—দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের এমন মুখোমুখি অবস্থান বিশ্ব রাজনীতিতে কোন মোড় নেবে? এই উত্তেজনা কি সীমিত থাকবে, নাকি বড় ধরনের সংঘাতের দিকে গড়াবে?
আপনার মতামত দিন:
এই সংঘাত নিয়ে আপনার ভাবনা কী? মন্তব্যে জানান।
মন্তব্য করার জন্য লগইন করুন!